top of page

Ek tha CPI (M)

A Post-mortem of Bengal Politics




ভোটের ফলাফল বেরিয়ে গেছে। তৃতীয় বারের জন্যএকক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে মাননীয়া মমতা ব্যানার্জী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন এবং ভারতীয় জনতা পার্টি বিধানসভার-র ঘরে-বাইরে প্রধান বিরোধী পার্টি। বামফ্রন্ট- কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ান সেক্যুলার পার্টি সম্পূর্ণ ভাবে পরাজিত। ১৩৭ টা আসনে প্রার্থী দিয়ে কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া একটি আসনও জিততে পারেনি। শতকরা হিসেবে মাত্র ৪: ৭২ % ভোট পেয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পর বিভিন্ন স্যাটেলাইট চ্যানেল ও সোশ্যাল মিডিয়া তে সিপিআই ( এম ) -র বিভিন্ন পরাজিত নেতারা এই হারের জন্যে পার্টি-র ওপরের নেতাদের দায়ী করছেন। কিন্তু তারা কি কেউইকি বুঝতে পারেননি এরকম ফলাফল হতে পারে? নাকি বুঝতে পেরেও নিজেরা মূর্খের স্বর্গে বাস করছিলেন আর তাদের পার্টি কর্মীদের চাঙ্গা করছিলেন ?


এইবারের নির্বাচন পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ইতিহাসে অবিস্বরণীয় হয়ে থাকবে। এযাবৎ যতগুলো নির্বাচন লড়া হয়েছিল, তার থেকে এবারের লড়াইয়ের ডিএনএ সম্পূর্ণ আলাদা। আদর্শ নয়, বিশ্ব-রাজনীতির কুটকাচালি নয়, শাসক বিরোধিতা নয়, লড়েছিল দুটো পলিটিকাল স্ট্রাটেজিস্ট এজেন্সী। আর এদের অন্তর্দ্বন্দ্বে সিপিআই (এম ) হারিয়ে গেলো।


বিজেপি -র পলিটিক্যাল স্ট্রাটেজিস্ট শাখা; 'নেশন উইথ নমো' বিধানসভা নির্বাচনে-র জন্যে যে অভূতপূর্ব প্রচার করেছিল তার জন্যে আনুমানিক খরচ করছিলো আনুমানিক ১৮, ৬০০ কোটিটাকা। তাদের প্রচারের মূলধারা টা দাঁড়িয়ে ছিল বিহেভিয়ারিয়াল মার্কেটিং -এর ওপরে। অপর দিকে প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর এজেন্সী, আইপ্যাক ,কনসিউমার বিহেভিয়ার কে মাথায় রেখে ঘুটি সাজিয়েছিল। বিহেভিয়ারিয়াল মার্কেটিং কি ? সহজ ভাষায় বললে ,অনলাইন মার্কেটিং-এর সাহায্যে কোনো 'বিগ আইডিয়া 'কে গ্রাহকের আধা-সচেতন মনে একটা লোভ বা 'ওয়ান্ট' তৈরী করা। অনেকটা সেই বিখ্যাত সংলাপের মতো, 'ডাল-ভাত' আর 'বিরিয়ানির পার্থক্য ,প্রথমটা নেসিসিটি ,পরেরটা লাক্সারি । ‘আচ্ছে দিন ’,‘সুনার বাংলা ’ সব এই গোত্রে পরে । অপরদিকে আই -প্যাক প্রত্যেকটি জনগোষ্ঠী , তাদের চাহিদা -ক্ষোভ কে মাথায় রেখে - ব্লক ,জেলা অনুযায়ী , ক্যাম্পেইন ডিসাইন করেছে । ‘দিদি কে বলো ’ প্রচারের মাধ্যমে তৃণমূল কর্মীদের চাঙ্গা করেছে ,আর ‘দুয়ারে সরকার ’ -এর মাধ্যমে সরকারের প্রতি ক্ষোভ দূর করার চেষ্টা করেছে। সিপিআই (এম )কিন্তু এর পিছনে কারণ বোঝার চেষ্টা না করে শুধু ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ করেই ক্ষান্ত থেকেছে । সিপিআই (এম) -র রণকৌশলল কি ছিল ? সিপিআই ( এম ) -র প্রথম চেষ্টা ছিল যে আব্বাস সিদ্দিকীর -র পার্টি -র সাথে জোট করে মুসলিম ভোটগুলো কে নিজেদের কাছে নিয়ে আসা। নিঃসন্দেহে সঠিকচিন্তা ভাবনা। কিন্তু আব্বাস-এর রাজনৈতিক পরিচয় কতটাছিল ? ধর্মীয় নেতার পক্ষে পৃথিবীর বৃহত্তম দল কে আটকানো কি সম্ভব ছিল ? যদি ধর্মীয় মেরুকরণের ভিত্তিতে ভোট হয় - তাহলে কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া -র সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়া উচিত কারণ তারা এর বিরুদ্ধে বরাবর প্রতিবাদ করে এসেছে। গন্ডগোল টা হলো সিপিআই (এম ) দুটো ওয়ার ফ্রন্ট খুলেছিলো - একটা বিজেপি এর বিরুদ্ধে আর একটি তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অঙ্ক টা সহজ - ৩০ % মুসলিম ভোট চলে আসবে বাকিটা মধ্যবিত্ত বাঙালি ভদ্রলোকরা ভোট দেবে, ফলে জয় সুনিশ্চিত। অঙ্ক টা যে মেলেনি আর শীতলকুচির ঘটনার পরে যে আরোই মিলবে না তা বোঝা গিয়েছিলো। সিপিআই (এম ) বরাবর সাধারণ জনমানুষ কে বোকা ভেবে এসেছিলো , এভাবে ভোট বিভাজিত হলে যে পরোক্ষ ভাবে বিজেপি - র সুবিধা হচ্ছে তা সত্যি বুঝতে পারছিলো। জোট বেপারটা নিয়ে সিপিআই (এম ) নিজেও কি নিশ্চিত ছিল ? বৃহত্তর স্বার্থে কেরালা, তামিলনাড়ু তে কংগ্রেস -এর সাথে জোট হয় না , পশ্চিমবঙ্গে হয়। রাহুল গান্ধী বা কংগ্রেস এর কোনো উচ্চপর্যায়ের নেতা কে প্রচারে দেখা যায় না। মানুষ কেন বিশ্বাস করবেযে এরা কোনো দল কে হারাতে পারে।


অতীত কে ভোলার চেষ্টা করা যায় কিন্তু মুছে ফেলাকি সহজ ? ১৯৭৭ থেকে ২০১১ যে দল নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে ক্ষমতায় ছিল; প্রথম এবং শেষ পাঁচ বছর বাদে যে দলের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না- সেই রাজ্য হয় বিশ্বমানচিত্রে নিজের জায়গা নেবে অথবা নৈরাজ্যে পরিণত হবে। ভুল স্বীকার, ক্ষমা প্রার্থনা , প্রায়শ্চিত্ত হয়তো আরও অনেক কিছু করলে পরে, একটা প্রজন্ম আসতো যারা সিপিআই ( এম ) কে বিশ্বাসযোগ্য মনে করতো। কিন্তু সিপিআই (এম) এর সমর্থকরা রা মোটামুটি ভাবে সোশ্যাল মিডিয়া তে এমন ভাবে প্রচার করে গেছে যেন ২০১০ সাল পর্যন্ত সমস্ত মাল্টিন্যাশনাল কোম্পনি গুলোর হেডঅফিস পশ্চিমবঙ্গে ছিল , কোনো দুর্নীতি , অপরাধ , খুন-জখম , কাটমানি কিছুই হতো না। গান্ধীজি-র বলা 'রামরাজ্য' ছিল। এই প্রত্যেকটি বয়ান থেকে পরিষ্কার 'বিপ্লব'-এর ধারণা শুধুমাত্র মানুষের সাথে সংযোগহীন না , কোনো ধারণাই নেই মানুষ কি চায়। মানুষ যদি ইন্দিরা গান্ধী কে 'জরুরি অবস্থা' -র জন্যে মনে রাখে; তাকে 'ব্যাংকের রাষ্ট্রয়ত্তকারণ' , 'বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ' -র জন্যেও মনে রেখেছে। সিপিআই (এম ) এর ভালো কাজ যদি কিছু থাকে তার থেকেও বেশি তাদের দ্বিচারিতা মনে রেখেছে - এটা তারা ভুলে যায়। স্কুল থেকে ইংরেজি শিক্ষা তুলে দিয়েছে আর নেতারা নিজেদের সন্তানদের ইংরেজি মিডিয়াম-এ পড়িয়েছে। যে টাটাগোষ্ঠী পুঁজিবাদী ছিল সেই টাটা হটাৎ করে শিল্পবান্ধব হয়ে উঠলো। এবং সিপিআই (এম ) যতই লাফালাফি করুক সিঙ্গুর -নন্দীগ্রাম শিল্পায়ন নিয়ে ,আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এটা সত্যি যে পার্টির ক্যাডাররা সেদিন বহুফসলা জমি গুলো কাড়তে গিয়েছিলো ,সরকারি আধিকারিকদের কোনোপ্রশিক্ষণ বা ধারণাই ছিল না নেগোশিয়েশন প্রোগ্রামের । ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কিন্তু ‘নেগোশিয়েশন প্রোগ্রাম' -কে জরুরি পেশাদারি দক্ষতা বলে মনে করে। 'লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স' এই বিষয়ে সার্টিফিকেট ট্রেনিং পর্যন্ত দেয় । কোনো পরিকাঠামো - প্ল্যানিং নেই ;হটাৎ শিল্প আসছে। পুরুলিয়া ,বাঁকুড়া তে যেখানে অকৃষিযোগ্য জমি আছে ,সেখানে শিল্প -পার্ক তৈরী না করে একটা কৃষিঅর্থনীতি নির্ভর রাজ্যের জিডিপি -র সর্বনাশ করতে চলল। এরা কর্মসংস্থান করতো ?! তার ফলাফল ১৯৬৪সাল থেকে যে কৃষকশ্রেণী ভোট দিয়ে এসেছিলো , তারা সরে গেল। আজ দিল্লির রাস্তায় আন্দোলনরত পাঞ্জাবের কৃষকদের অবস্থা দেখলে বোঝা যায় তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা , এর পাশাপাশি ৩৪ বছরের বামরাজত্বে থাকা বাংলার কৃষকরা 'অশনি সংকেত ' ফিল্ম -এর বিমূর্ত প্রতীক। ব্রিগেড-এ জনসমাগম প্রত্যেকবার হয়, কিন্তু ভোট আসে না। 'কেউ কথা রাখেনি -দশ বছর হয়ে গেলো -কেউ কথা রাখেনি'।


ইন্টারনেট পূর্ব যুগে একটা কন্সপিরাসি তত্ত্বের এর খুব চল ছিল। মার্কিন ইন্টেলিজেন্স এজেন্সী সিআইএ , পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচিত বামফ্রন্ট সরকার কে ফেলে দিতে চায়। তখনকার লোকেরা হয়তোবিশ্বাসও করতো, তার পিছনে কতটা যুক্তি আর কতটা আত্মশ্লাঘা তা অবশ্য জানা যায় না , অনেকটা সেই গল্পটার মতো , কবি জীবনানন্দ দাশ চলন্ত ট্রামের আঘাতে মারা গিয়েছিলেন । ট্রাম কোম্পানি প্রমান করতে চেয়েছিলো বোধহয় যে তাদের ট্রাম একসময় খুব জোরে ছুটতো । কিন্তু এই গুগলের দুনিয়ায় , ভারত কে আজ অক্সিজেন-এর জন্যে মার্কিন এইড-এর ওপরে নির্ভর করতে হয়। ফলে সিপিআই (এম )-এর সাম্রাজ্যবাদী শত্রু বদলে গেলো মমতা ব্যানার্জী নাকি পুঁজিবাদের দালাল। এই ন্যারাটিভ কোনো শিক্ষিত মধ্যবিত্ত হজম করতেপারেনি। অথচ সিপিআই (এম ) কিন্তু মার্কিন সংস্থা ফেসবুক , টুইটার ব্যবহার করে গেছে প্রচারের জন্যে । এটা দ্বিচারিতা না এডওয়ার্ড স্নোডেন হবার ইচ্ছে সেটা জানা নেই।

প্রশান্ত কিশোর যখন 'কুইন স্যাক্রিফাইস '-র মতো কৌশলের অমোঘ প্রয়গ করছেন, তার সাথে মিশিয়ে দিচ্ছেন বাঙালির স্বাভিমান কে। বিজেপি 'মোদী ঝড় ' তুলতে চাইছে। বঙ্গজ সিপিআই (এম)-রা কোনোপ্রোপাগান্ডা তৈরী করতেপারেনি। তৃণমূল সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার দুটিরই সমালোচনা করার মতো ইস্যুস ছিল। কিন্তু সারাবছর কিছু না করে, নির্বাচনের আগে, শুধুমাত্র নির্বাচন কে কেন্দ্র করে সমালোচনা করলে তা দাগ কাটে না। সিপিআই (এম ) কিন্তু কোনো ব্লু প্রিন্ট দিতে পারেনি যে তারা ক্ষমতায় এলে কি ভাবে কাজ করবে ? কি কাজ করবে আর কি ভাবে করবে এর মধ্যে আসমান আর পাতালের পার্থক্য হয়। সিপিআই (এম )-এর পশ্চিমবঙ্গের নেতারা কোনোদিন স্থানীয় আবেগ কে পাত্তা দেয় নি। অমর্ত্য সেন বা বিশ্বভারতীর ওপর আঘাত নিয়ে মমতা ব্যানার্জী যে ভাবে গর্জে উঠেছিলেন , সিপিআই (এম )-র নেতারা মুখই খোলেন নি। গত বছর বিহার নির্বাচনে, সেখানকার নেতাদের ম্যানিফেস্টো, এবারের কেরালা পার্টি-র ম্যানিফেস্টো আর এখানকার নেতাদের ম্যানিফেস্টো পড়লে বোঝা যায় , সিপিআই (এম ) একটা নিও আরবান মিডল ক্লাস আর এলিট ক্লাস -এর পার্টি তে পরিণত হয়েছে। এর সাথেঅবশ্যই জ্যোতি বসু সিনড্রোম তো আছেই। উনি মনে করতেন মানুষ ভুল বোঝে, বিরোধীরা ভুল বোঝে -একমাত্র কমুনিস্টরাই সওওব জানে। এখনকার প্রজন্মের এসএফআই -র কতজন 'দাস ক্যাপিটাল ' পড়ছে সন্দেহ আছে কিন্তু প্রচারের সময় 'চে গুয়েভারা'- র টুপিপরে , ফটোশপ করা ক্যান্ডিড ফটো তোলার হিড়িক আছে। এবারের সিপিআই (এম )-এর চমক ছিল কিছু কমবয়স্ক মানুষ কে প্রার্থী করা। তাই নিয়েকি প্রচার , ভাবখানা এমন তাদের মতো শিক্ষাগত যোগ্যতা সারা বাংলায় কারোর নেই।বিজেপি রাজমিস্ত্রির যোগাড়ে ,চন্দনা বাউরিয়াকে প্রার্থী করেআর সিপিআই (এম ) বাগারাম তুলপুলে দেরভুলে যায়। এবারের নির্বাচন ৫০ % মাঠে ছিল , ৫০% ডিজিটাল-এ। সিপিআই (এম ) প্রচার দেখে মনে হলো , সব বিপ্লব শুধু ফেইসবুক এই হয়। আনুমানিক হিসেবে , ইউটিউব-এর রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে অন্তত ৪০ -৪৫ লক্ষ টাকা খরচ করলে , ৪ মিলিয়ন 'ইউনিক ইউজার' আর 2o মিলিয়ন-এর কাছাকাছি 'ভিউ' পাওয়া যায় । সিপিআই (এম )বাঘের পিঠে চড়ে বসে আছে ,তারা প্রচার করে এসেছে তারা নিপীড়িত শ্রেণীর গরিব পার্টি ,ফলে লোক দেখানো চাঁদা তুললেন সোশ্যাল মিডিয়া তে। 'আসোসিয়েশন অফ ডেমোক্রেটিক রিফর্ম' -এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৬ -১৭ সালে সিপিআই (এম )-এর সম্পত্তি ছিল ১০ .০২ বিলিয়ন। সিপিআই(এম ) নিজের ফাঁদে পড়লো ,টাকা ছিল কিন্তু খরচ করতে পারলো না। বিজেপি-র সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইন সংস্থা , 'আসোসিয়েশন অফ বিলিয়ন মাইন্ডস' - এর এই লোক দেখানো দায় ছিল না , ফলে তারা সব ডিজিটাল -এ ছেয়ে গেলেন। (এম ) বারবার বলে আসছে যে , মমতা ব্যানার্জী আর বিজেপি একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ , শুধু তারা সময় মতো ভুলে গেলেন ব্রিগেডের মাঠে জ্যোতি বসুর সাথেই অটলবিহারী বাজপেয়ী বসে ছিলেন। এবং প্রচার কৌশল হিসেবে উঠে আসলো , জয়রাজ ভট্টাচার্যের 'ফ্ল্যাশ মব', 'টুম্পা' গানের প্যারডি , সৌরভ পালোধীর 'হাল্লা গাড়ি'। বিসিজি ম্যাট্রিক্স মানলে , এগুলোতে তাৎক্ষণিক আকর্ষণ পাওয়া যায় - সুদূরপ্রসারী ফলাফল নয়। এবারের নির্বাচনের আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল - ভাষার রাজনীতি -রাজনীতির ভাষা। বিজেপির নেতারা যে বিকৃত উচ্চারণে বাঙালি সাজার চেষ্টা করলেন, যে ভাবে দেশের প্রধানমন্ত্রী একটিঅঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে আক্রমণ করলেন তা নজিরবিহীন। এই সৌজন্য দ্রাবিড় সভ্যতা বা মারাঠা সাম্রাজ্যে দেখাতে পারতেন ? সন্দেহ আছে। তৃণমূল নেতারাও কম যান না। কিন্তু সিপিআই (এম ) বিভিন্ন ভাবে বলিল , তাহারা দেবভাষা ব্যতিরেক কথা বলেন না - ফলে ইন্দিরা গান্ধী কে ‘ডাইনি বুড়ি ’, 'কানাঅতুল্য','কালীঘাটের ময়না', 'আন্দোলন টা কে আমিষ করে দিলাম' এইসব শব্ধবন্ধ কে ভুলে গেলেন।


শোনা যায় , দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় , আমেরিকা এবং ইংল্যান্ড চেয়েছিলো যে হিটলারবাহিনী আগে কমিউনিস্ট রাশিয়া কে শেষ করুক তারপর দেখা যাবে। '২১-এ রাম, ২৬ - এ বাম' এটা পলিটিকাল জোক ছিল না সত্যিই এজেন্ডা ছিল প্রশ্ন জাগে। হয়তো কোনো কমরেড, কোনোদিন বিপ্লব শেষ করে 'আত্মঘাতী সিপিআই (এম)' বই লিখলে জানা যাবে । সিপিআই (এম ) কে অনুরোধ , 'আপনাদের বিপ্লব' তো অনেক হল। রাশিয়া , চীন কিন্তুসাইন্স এন্ড টেকনোলজি তে বিল্পবএনে আজকে নতুন 'ওয়ার্ল্ড অর্ডার' তৈরীকরেছে। গণ, শক্তিথেকে শত্রু হয়েযায়নি। শূন্য থেকেও গঠনমূলকবিরোধী রাজনীতি করুনএবার ,আম-আদমির রাজনীতি করুনএবার।



6 views0 comments

Recent Posts

See All
bottom of page